মগরাহাট: শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) তৃণমূলের জয়ী সদস্য মৈমুর ঘরামীকে। এই ঘটনায় পুলিশ সিপিএমের প্রার্থী নজরুল ফকির ৩ জন বামপন্থী কর্মীকে আটক করেছে। এলাকায় উপপ্রধান পদ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন হয়েছেন মৈমুর ঘরামী। এরপরই সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপিকে চিঠি দিয়েছে, জানিয়েছে খুনের সঙ্গে তাদের দল বা দলের কোনও কর্মীরা যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন হয়েছেন তৃণমূলের জয়ী সদস্য।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দাবি, জমি, বাড়ি বিক্রির দালালি ও অন্যান্য বেআইনি রাস্তায় প্রচুর টাকা উপার্জন করেছেন মৈমুর। বিগত পঞ্চায়েতের সদস্য হিসেবে। পঞ্চায়েতের প্রধানকে হবে, তা নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছিল তৃণমূলের ৩ জন দাবীদারের মধ্যে। যার মধ্যে একজন নিহত মৈমুর। এসবই এলাকার সাধারণ মানুষ জানেন। পুলিশ এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্কলহ ধামা চাপা দিতে, মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ আনা হয়েছে তার দেলর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Humayun Kabir | Show Cause | হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল তৃণমূল
ওই চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ নজরুল ফকিরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এই ঘটনায় মিথ্যে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। মনগড়া ও সাজানো অভিযোগে আটক নজরুল ফকির সহ বাম কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছেন। প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট না হয় সেদিকেও পুলিশকে নজর রাখতে হবে। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুস্কৃতিদের গ্রেফতার করতে হবে। নজরুল ফকিরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরেন। অভিযোগ, মৈমুরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। পরে ফের তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়। মৈমুরের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী শাজাহান ছুটে আসেন। এমনকী তাঁকেও গুলি করা হয়। দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা মৈমুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাজাহান ভর্তি।