তুফানগঞ্জ: সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের চর বালাভূত এলাকায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। আহতদের নাম সাইজুল হক, আব্দুল হালিম মিঞা এবং সুরুজ জামাল মিঞা। সাইজুল হক বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ ১/বি ব্লকের সভাপতি প্রদীপ বসাকের দাবি, উভয় পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। এটা জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদ।
তবে এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি উজ্জ্বলকান্তি বসাক বলেন, তৃণমূল মানেই কোন্দল। বালাভূতের ঘটনা তার ব্যাতিক্রম নয়।
এদিকে ময়নাগুড়ির বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) গণইস্তফা। পদত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য জয়ী ৯-১০ জন সদস্যও। এছাড়াও আছেন পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য। পাশাপাশি দলের কয়েকজন পদাধিকারীও ইস্তফা দেন। সোমবার অঞ্চল সভাপতি সহ একাধিক পদাধিকারী ইস্তফাপত্র ব্লক সভাপতির মাধ্যমে জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, কল্যাণী তরফদারকে প্রধান হিসেবে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা কেউ পছন্দ করছেন না। কারণ তিনি দুই দফায় এই অঞ্চলের প্রধান থেকেও এলাকার মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে পারেননি। বোর্ড গঠনের সময় তারই প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদী তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর যুব তৃণমূল নেতারা হামলা চালান বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়।
সোমবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতারা। মূলত জেলা তৃণমূল সভাপতি ও জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ নেতাদের। তাঁদের আরও দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ জেলা নেতৃত্ব মানেননি।