বাঘমুণ্ডি: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। এবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল পুরুলিয়ায় (Purulia)। বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হলেন দলেরই নেতাকর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, বিধায়কের চামচাগিরি করে বিভিন্ন পদ নিচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন বিধায়কের গোষ্ঠী। পুরাতন তৃণমূল কর্মীদের পাত্তা না দিয়ে নব্য তৃণমূলীদের সঙ্গে নিয়ে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি সারছেন বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। অথচ বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে ডাক পাচ্ছেন না পুরনো তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী এলাকার উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে খোদ বিধায়ক বলে অভিযোগ এলাকারই তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীরা।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে কর্মী সম্মেলনে ডাক দিয়েছে ঝালদায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, ব্লকে ব্লকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য এবং বিভিন্ন পদাধিকারী নেতাকর্মীদের দলীয় কর্মসূচীতে না ডেকে, সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারীদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় কর্মসূচীগুলি সারছেন সুশান্ত মাহাতো। পাশাপাশি বিভিন্ন ঠিকাদারকে বিভিন্ন পদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দলে থেকে দলেরই বদনাম করছে কিছু লোকজন। দল বিরোধী কাজ করছেন। ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি শেখ সুলেমানকে জমি মাফিয়া বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সিপিআইএম ও কংগ্রেসের বি-টিম হয়ে কাজ করছে কিছু তৃণমূল কর্মী। বিষয়টি জেলা তথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলেও জানান তাঁরা। পাশাপাশি দল বিরোধী কাজ করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানায় বিধায়ক গোষ্ঠী। যদিও বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।