কালনা: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রাইমারি স্কুলে। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার প্রধান শিক্ষক। কালনার বিধায়কের চক্রান্তের শিকার কালনা পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা নান্দাই পঞ্চায়েতের খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বদলির অর্ডার আসায় আজ দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে আসলে ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামবাসীরা তাঁকে ছাড়তে নারাজ। প্রধান শিক্ষককে ফাঁসিয়েছে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ যার মাধ্যমে এই কাজ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই দফতরের আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি, গ্রামবাসীদের দাবি না মানা হলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার নান্দাই পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই প্রাথমিক স্কুল খাঁ পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন পোড়েল তিনি কালনা পুরসভার উপ পুরপ্রধান। দীর্ঘদিন ধরেই কালনার বিধায়ক বনাম উপ-পুরপ্রধানের ঠান্ডা মাথায় লড়াই চলছিল। এবার সেই লড়াই প্রকাশ্যে আশায় অসস্তিকে তৃণমূল। অভিযোগ, খাঁপুর গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর মাধ্যমে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে একটি মাস পিটিশন পাঠানো হয় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরে। সেই মাস পিটিশানে প্রত্যেকের সই জাল করা হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় অসুস্থ মন্ত্রী মলয় ঘটক, ভর্তি হাসপাতালে
পিটিশনে বলা হয়েছে, খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না। তাতে পড়াশুনোর অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতর তদন্ত না করে প্রধান শিক্ষক তপন পোড়েলকে হুগলিতে বদলির নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক আজ প্রধান শিক্ষক স্কুলের কার্যভার বুঝিয়ে দিতে এলে গ্রামবাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে যেতে দেবে না এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। গ্রামের কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা সহ অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষককে ছাড়তে নারাজ।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুইদাস পালের বক্তব্য, তাঁকে কালনার বিধায়ক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনের বিরুদ্ধে স্কুলে না আসার অভিযোগে মাস পিটিশন লিখে গ্রামবাসীদের সই করাতে বলেন। তাই তিনি এই কাজ করেছেন। এই ঘটনার খবর পেয়েই খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হাজির হন স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক দফতরের কয়েকজন আধিকারিক।
গ্রামবাসীদের প্রত্যেকেরই দাবি, যদি স্কুলের প্রধান শিক্ষক চলে যায় তাহলে স্কুলের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অপরদিকে কালনার বিধায়ক তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।