বাঁকুড়া: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আক্রান্ত বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ‘কাটমানি’র কারণেই তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এমনটাই দাবি বিজেপির।
পাত্রসায়ের ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক হিসেবে পরিচিত বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত। যুব সভাপতির ঘনিষ্ঠ পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত কর্মকার। বৃহস্পতিবার সকালে বাইক নিয়ে পাত্রসায়ের বাজারে গিয়েছিলেন সুব্রতবাবু।
সেই সময় বিরোধী গোষ্ঠী ঘনিষ্ঠ শেখ মনিরুলের উপস্থিতিতে একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আক্রান্ত সুব্রত কর্মকারের দাবি, তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজন তাঁকে মারধর করেছে।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনার কথা শুনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে পুলিস। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াই। গরিব মানুষের টাকা মেরে সেটা নিয়ে ওরা লড়াই করছে। সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবে।