মালদহ: গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর উপর এলোপাথাড়ি হাসুয়ার কোপ। বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নির্দল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহর মানিকচক ব্লকের পশ্চিম নারায়ণপুরের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে। ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থীর সহ তিনজন তৃণমূল কর্মী আহত। পাল্টা নির্দলের তিন সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহতরা সকলেই মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জুলি মণ্ডল। তবে প্রার্থী হতে না পারায় বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক নির্দলের সমর্থক হয়ে যান। এই প্রার্থী হতে না পারাকে কেন্দ্র করে আক্রোশ ছিল বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মধ্যে। অভিযোগ, এর জেরেই পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী জুলির বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় ওই বিক্ষুব্ধ তৃণমূলেপ সদস্যরা। হাসুয়া, লোহার রড দিয়ে জুলির স্বামী সন্তোষ মণ্ডলের উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, এলোপাথাড়ি হাসুয়ার কোপ মারার সঙ্গে লাঠি ডিউই ব্যাপক আঘাত করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে হাসুয়ার কোপে আহত হন সুলেখা মণ্ডল নামে এক মহিলা।
আরও পড়ুন: হোটেল মালিককে ডেকে মারধর, অভিযোগের তির তৃণমূল নেতার দিকে
পাশাপাশি মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মী ধনঞ্জয় মণ্ডলকে। তিনজনই গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে নির্দল সমর্থক শ্রবণ মণ্ডল, কৃষ্ণ মণ্ডল,পলাশ মণ্ডল, রূপচাঁদ মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূল প্রতিদ্বন্দীতা করা পরাজিত প্রার্থী জুলি জানান, নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে আক্রোশ ছিল। দল আমাকে যোগ্য মনে করেছিল তাই টিকিট দিয়েছিল। যারা অভিযুক্ত তারা গ্রামে বরাবরই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। একটি পরিবারকে মাসখানেক আগে মারধর করেছিল। সেই পরিবারের পক্ষে সাক্ষী দেওয়ায় আরও আক্রোশ বেড়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন নির্দল সমর্থকেরা।