জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় দেখা গেল বড় মাপের দলবদল। ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায় (Ranjita Roy)। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট শিকারপুর অঞ্চল থেকে প্রধান হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন রঞ্জিত রায়। কিন্তু তারপর তাঁকে শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই রঞ্জিতার এই পদক্ষেপ।
সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জিত বলেন, আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু এলাকার কাজ করতে গিয়ে পদে পদে আমাকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এই কারণে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়নি। তাঁর আরও দাবি, মানুষের কাছে গিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, বেশ অনেক দিন ধরেই এই দলে আর থাকতে পারছিলেন না তিনি। বেরোনোর জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। আর সেই সময় আসতেই BJP-তে যোগ দেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর মূল লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেভাবে দুর্নীতি ঢুকে গিয়েছে, তাতে কোনও ভদ্র মানুষ কখন তৃণমূলে থাকতে পারে না। বেরিয়ে যেতে চাইছেন। তাঁর বিশ্বাস আগামী সময়ে আরও মানুষ দলে দলে BJP-তে যোগদান করবেন।
এদিকে আবার তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মালবাজারে পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রিনা বরা (Rina Bora) মনোনয়ন জমা দিলেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। আর তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই সরাসরি নিজে এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন রিনা বরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, দলীয় নেতৃত্বদের উপর ক্ষোভ থেকেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। অনশন ধর্নায় বসেছি। দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়াছি। জেলা সভাপতি, মন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিল এবং সুশীল প্রসাদকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর জানান, এই জন্যই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।