ময়না: বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার খিদিরপুর গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়না থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে বিজেপি কর্মী মোহন দাসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ময়নার খিদিরপুর গ্রামে মোহন বিজেপির সক্রিয় কর্মী। নির্বাচনের মুখে তাঁকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। সেই কারণেই হয়তো তাঁকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি গতকাল রাতে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মোহনে স্ত্রী শিবানী দাস দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী এসে আচমকা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন মোহনের স্ত্রী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলেক দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে দাবি মোহনের। গতকালকের ঘটনার সময় ওই বিজেপি কর্মী বুথ কমিটির মিটিং এ ছিল। পরে ময়না থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতচার করা হয়নি।
উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কাল থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। গত ২৪ দিনে রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম থেকেই হিংসার ঘটনায় সরব রাজ্যপাল। তিনি একাধিক জানিয়েছেন, কোনও ভাবে রাজ্যে হিংসা বরদাস্ত নয়। এদিনও তাঁকে ফের সরব হতে দেখা যায়। তিনি বলেন, রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কারা অশান্তির পিছনে তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার যে আগুন রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে সেই দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত। কে হিংসা ছড়াচ্ছে, তা আমার কাছে বড় কথা নয়। হিংসায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, এটাই বড় কথা।আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করান। ৪৮ ঘণ্টা আমি অপেক্ষা করব। তার মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখব।