কলকাতা: সিআইডির তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, এর আগেও ধৃত ঝাড়খণ্ডের এই তিন কংগ্রেস বিধায়ক ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সিআইডি লালবাজারের শেয়ার ট্রেডিং সংস্থার মালিক মহেন্দ্র আগরওয়ালকে বৃহস্পতিবার তলব করেছে। এদিন আগরওয়ালকে হাজিরা দিতে হবে সিআইডির কাছে। গত ৩০ জুলাই রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের একটি কালো গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় ওই তিন বিধায়ককে। তখনই সামনে আসে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত চলছে।
শনিবার হাওড়ার সাঁকরাইলে পাঁচলা থানা এলাকায় গাড়ির ভিতর বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক৷ শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস৷ গ্রেফতারের পরই তিনজনকে তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে৷ ধৃতরা হলেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল৷ এঁদের সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷
এর মধ্যেই বিরোধীদের সরকার ফেলায় ‘সিদ্ধহস্ত’ অসমের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই একটা প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে, মহারাষ্ট্রের পর কি এবার গেরুয়া টার্গেট ঝাড়খণ্ড? আর সেই কারণেই মজুত করা হচ্ছিল টাকা?