নারায়ণগড়: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসকদলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তাদের মধ্যে ২০জন মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন বিজেপির পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠিকন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল কোনওভাবেই মেটানো গেল না। এদিনের ঘটনা ফের একবার তা প্রমাণ করল।
মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তারপর থেকেই রাাজ্য়ের একাধিক জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি ধরা পড়ছে। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষের মাঝেই তৃমমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত হচ্ছে সারা বাংলা। বুধবার ক্যানিংয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃমমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চরমে পৌঁছয়। সকালে থেকে দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ক্যানিংয়ে। অভিযোগ, টাকার বিনিময় টিকিট দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ধাক্কা, টিকিট না পেয়ে প্রতিবাদে দলত্যাগ বীরভূমে
পাশাপাশি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূল ছেড়ে অন্যদলে নাম লেখানোর হিড়িক দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়। শাসকদলের একাধিক নেতাকর্মীরা প্রার্থী তালিকা নাম না থাকায় গণইস্তফার পথে হাঁটছে। এদিনের এই ঘটনা তারই প্রমাণ। রাজনৈতিক মহলের মতে, গণইস্তফা সহ তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বেশ প্রভাব পড়তে পারে। যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, এরা সকলেই সুবিধাবাদী। স্বচ্ছ কর্মীদের দল প্রার্থী করেছে। মানুষ এর জবাব ভোটে দেবে। এর প্রভাব নির্বাচনে কিছু পড়বে না বলেই দাবি শাসকদলের।