ওয়েব ডেস্ক: গিয়েছিলেন ভূস্বর্গের সন্ধানে, কিন্তু ফিরতে হবে কফিনবন্দি হয়ে। কাশ্মীর (Kashmir) ট্যুরে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি বাংলার তিনজনের। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন। ছুটি কাটাতে গিয়ে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের তরুণ আইটি কর্মী বিতান অধিকারী, বেহালার সখেরবাজারের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী সমীর গুহ এবং পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের অফিসার মণীশ রঞ্জনের।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে যখন তাঁরা বৈসরন উপত্যকার শান্ত প্রকৃতিতে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুরু হয় গুলির বৃষ্টি। জলপাই রংয়ের পোশাক, মুখে মাস্ক পরে পর্যটকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় একদল জঙ্গি। চোখের সামনে স্বামীদের ঝাঁঝরা হয়ে যেতে দেখলেন তাঁদের স্ত্রীরা। গুলির শব্দে মুহুর্মূহু কেঁপে ওঠে কাশ্মীরের এই পাহাড়ি উপত্যকা।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে কারা? সামনে এল বিরাট তথ্য
বেহালার সমীর গুহ (Samir Guha) স্ত্রী শবরী ও মেয়ে কৃশার সঙ্গে গিয়েছিলেন কাশ্মীর বেড়াতে। ফিরে আসার কথা ছিল বুধবার। তার আগেই সব শেষ। শবরী দেবীর বর্ণনায়, ঘটনার কিছুক্ষন আগে পরিবার ছবি তুলছিল। হঠাৎ গুলির শব্দ আসে। স্থানীয়রা শুয়ে পড়তে বললেও, এরই মধ্যে মুখে মাস্ক পরে সামনে আসে জঙ্গিরা। সমীর গুহকে টেনে নিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তারা।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার মণীশ রঞ্জনও (Manish Ranjan) ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে। পরিবারের সামনেই ঘটে যায় নারকীয় কাণ্ড। জানা গিয়েছে, গত দু’বছর হায়দরাবাদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে আইটি কর্মী বিতান অধিকারীও (Bitan Adhikari) স্ত্রী ও সাড়ে তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। পহেলগাঁও হিল স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন তিনি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: