পুরুলিয়া: ব্রিজ নেই, তাই ভেলায় চড়ে আসতে হয় ব্লক সদরে। এমনই অবস্থা পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের গুড়ুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৮ থেকে ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের। অনুন্নয়নের হাত ধরে বান্দোয়ান ব্লকে ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রথমে এমসিসি পরে মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল। এই ব্লকের পুরোটাই জঙ্গলমহলে ঢাকা। এক সময় সন্ধ্যার পর আর কোনও মানুষকেই দেখা যেত না বাড়ির বাইরে। সেই সময় একাধিক খুন করেছে মাওবাদীরা এই ব্লকে। উন্নয়নের লেশ মাত্র ছিল না।
সরকার বদল হয়েছে ১৩ বছর আগে। এই ব্লকে বেশ কিছু উন্নয়নের কাজ হলেও গুড়ুর পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়নি। বান্দোয়ান ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে টটকো নদী। এই নদী পারাপার করতে হয় পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। এই নদীর পাশেই রয়েছে একটি রাস্তা। যে রাস্তাটি ব্যবহার করে এই পঞ্চেয়েতের গ্রামবাসীরা। বছরের অধিকাংশ সময়ে এই নদীতে জল থাকে। ভরা বর্ষার সময়ে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় কলাবনি, শালবনি, চান্দ্রা, হলুদবনি, তুলশিডি সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা সমস্যায়। সদর বাজার বান্দোয়ান হওয়ায় আসতে হয় নিত্যদিন এলাকাবাসীদের। ছাত্রছাত্রী থেকে রোগী সকলেরই ভরসা ভেলা। ঘুর পথে বান্দোয়ান সদরে আসতে গেলে ১২ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়।
আরও পড়ুন: টোটো-লরি সংঘর্ষ, মালদহের পথদুর্ঘটনায় মৃত ৪
বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পারাপার করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তবু নীরবে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে সকলকে। স্থায়ী সেতুর জন্য বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও হয়নি সুরাহা। কবে হবে স্থায়ী সেতু জানেন না এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। যদিও বান্দোয়ান বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রাজীব লোচন সরেন বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা আবেদন করেছি দেখছি কতো তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হয়।