কলকাতা: দেশজুড়ে সিএএ (Citizenship Amendment Act) চালুর বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই রাজ্যে বিজেপি শিবিরে দারুণ উল্লাস। বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় সমস্ত পার্টি অফিসে মিষ্টি বিলি শুরু হয়। দলীয় কর্মীরা মিছিল করেন। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে উল্লাস উপচে পড়ে। ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের (Matua Religious) লোকজন ডঙ্কা কাঁসর বাজিয়ে নৃত্যে মেতে ওঠেন। বনগাঁ, রানাঘাট, ঠাকুরনগর, বারাসত, দেগঙ্গা থেকে শুরু করে উত্তবঙ্গের বিভিন্ন মতুয়া প্রভাবিত এলাকায় মানুষ পথে নেমে পড়ে।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৯)
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান থেকে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা উৎপীড়নের জন্য এ দেশে আশ্রয় চাইলে তাঁদের জায়গা দেবে ভারত। এতদিন ধরে কার্যকর করা না হলেও লোকসভা নির্বাচনের মুখে এসে সিএএ চালুর ঘোষণা নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে সিএএ-র চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি
এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাংলায় সিএএ চালু করতে দেব না। নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা ছিল আজ মধ্যরাতেই দেশজুড়ে সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। কিন্তু সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে সিএএ চালু করে দিল। সিএএ নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, সিএএ দেশের একটি আইন। নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর হবে। এই আইন নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত না। শাহর কথায়, এই আইনে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও বিধান নেই।
আরও খবর দেখুন: