তমলুক: কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের আট জন নেতাকে দলে ফিরিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল। ২০২১ সালে বিধানসভার ঠিক আগেই ওই নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল দল থেকে (Tamluk TMC Suspension)। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগ আছে এমন সন্দেহেই তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়ার পরই বিস্ফোরক নিকুঞ্জ মান্না (Nikunja Manna) নামক এক নেতা। তিনি বলেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই রয়েছেন। নিকুঞ্জ বাবু জানিয়েছেন, দলের প্রতিষ্ঠাদিন থেকেই তিনি তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে সংযুক্ত। যেদিন সৌমেন মহাপাত্র তাঁকে দল থেকে বের করে দিল কি কারণে বের করল সেই কারণটাই জানতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৯)
তিনি আরও বলেছেন, শুনছি আমায় সাসপেনশন উঠিয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আদর্শে অনুপ্রাণিত। আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম আছি এবং থাকব। শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত না হলে আমরা আর কার আদর্শে অনুপ্রাণিত হব, বলেই মন্তব্য নিকুঞ্জর।
আরও পড়ুন: মহিলাকে চুমু খেয়ে বিতর্কে খগেন মুর্মুর
অন্যদিকে, তমলুকের (Tamluk) বিধায়ক তথা রাজ্য সম্পাদক সৌমেন মহাপাত্র (MLA Saumen Mahapatra), যিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে ফিরিয়েছিলেন আট জন নেতাকে, তিনি বলেছেন, যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাদের সাসপেনশনের মেয়াদ ছিল তিন বছর। মেয়াদ শেষে সাসপেনশন উঠিয়ে নিয়েছি। এবার নিকুঞ্জ বাবু কোথায় যাবেন কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁদবেন সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাকে ঘিরে বিজেপির (BJP) তমলুক নগর মন্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের কোনও কর্মী বা লিডার নেই। তৃণমূল প্রার্থী যে হয়েছেন তিনি দেখছেন মাঠ ফাঁকা। যারা বসে আছেন বা সাসপেনশনে ছিলেন তাদেরকে হাতে পায়ে ধরে আনা হচ্ছে। নিকুঞ্জ বাবু সজ্জন ব্যক্তি, তাই তিনি বিপদে পা বাড়াননি।
আরও খবর দেখুন