কলকাতা: প্রতি জেলার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন মাত্র ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে। বিরোধীরা এই করন্দ্রিয় বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্তকে তামাশা এবং নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। বিরোধী নেতারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজ্য সরকারের দলদাস বলতেও ছাড়েননি। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি জেলায় এক কোম্পানি জওয়ান কোনও কাজেই লাগবে না। এই অবস্থায় বাহিনীর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে বুধবার নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়ার পরেই নড়ে ছোড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কমিশন কর্তারা দফায় দফায় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সন্ধ্যায় কমিশন জানায়, প্রতি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ছ’টি জেলাকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেগুলি হল বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই সব জেলায় রাজ্য পুলিশের স্পেশালাইজড ফোর্স এক কোম্পানি করে মোতায়েন করা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা তৃণমূল প্রার্থীর
বিরোধীরা ইতিমধ্যে বাহিনী নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। বিজেপির রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আসলে রাজ্য সরকারের তোতাপাখি। কলকাতা হাইকোর্ট নিখরচায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার কথা বলেছে। তবুও কমিশন সারা রাজ্যের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছেন। এই বাহিনী দিয়ে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট করানো হবে। আসলে রাজ্য সরকার যা বলছে, কমিশন তাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কিংবা অভিষেকের মিছিলের জন্য ১০-৩০ কোম্পনি পুলিশ থাকে। আর পঞ্চায়েত ভোটার জন্য জেলা পিছু নির্বাচন কমিশন মাত্র ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে। এই প্রহসনের কী দরকার ছিল কমিশনের।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন ছেলেখেলা করছে। ওই সব বাহিনী দিয়ে কিছু হবে না। আসল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে মানুষই।