কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীকে আদালতের দেওয়া রক্ষাকবচ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টই প্রশ্ন তুলল। পঞ্চায়েত ভোটে শুভেন্দু হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন এক আইনজীবী। সেই মামলার সূত্রেই বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, আজ যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেই নির্দেশকে দেখিয়ে দশ বছর পরে কোনও অপরাধ করলে কি পুলিশ তখনও এফআইআর করতে পারবে না? তখন কি সেই ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে পারবেন? তাঁর আরও প্রশ্ন, যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে কি সেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়া যায় না? এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেন সুমন সিংহ নামে এক আইনজীবী। তাঁর দাবি, আদালত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিক। আবেদনকারীর অভিযোগ, সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবং ভোটের দিন একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বিরোধী নেতা। শুধু তাই নয়, ভোটের পরও তিনি নানা কথা বলেছেন। মামলাকারী বলেন, কীসের ভিত্তিতে বিরোধী নেতা রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির কথা বলছেন। কেন তিনি ৩৫৫ ধারা জারির কথা বলছেন। এতে রাজ্যের সম্মানহানি হয়েছে বলে মামলাকারীর অভিযোগ। তিনি জানান, বড়জোড়া, নন্দীগ্রাম, নয়াগ্রাম-সহ একাধিক এলাকায় শুভেন্দু প্ররোচনামূলক কথা বলে অশান্তি ছড়িয়েছেন।
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুভেন্দু রক্ষাকবচ পেয়েছেন। এক বিচারপতি বলেছেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা যাবে না। ফলে আমরা যখনই অভিযোগ করছি, তখনই পুলিশ হাইকোর্টের আদালত বলেছিল, অন্যায় ভাবে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ করলে এফআইআর করা যাবে না, এ কথা বলা হয়নি।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আদালত অনুমতি না দিলে রাজ্য পুলিশ কী করে এফআইআর করবে। আদালত অনুমতি দিলে আমাদের অসুবিধে নেই। একক বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। এর আগেও পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশের কারণে আমরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারছি না।