কলকাতা: রাজ্যে জব কার্ড দুর্নীতির (Job Card Corruption) তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কেন্দ্রের একজন, রাজ্যের একজন আধিকারিক ও সিএজির একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ কেন্দ্র ও রাজ্যকে যত দ্রুত সম্ভব এই আধিকারিকদের নাম জানাতে হবে। তাঁরা গোটা রাজ্যে ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন। আগামী বৃহস্পতিবার ফের শুনানি। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ২০২৩ -২৪ অর্থবর্ষে যাতে নতুন করে কাজ চালু হয় তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে সজাগ থাকতে হবে।
খেত মজদুর সংগঠনের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আমরা শ্রমিক। আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা। আমরা কাজের আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কাজ পাইনি। কেন্দ্র বা রাজ্য কারা দায়িত্ব নেবে সেটা তারাই ভাবুক। কিন্তু তাদের দায়িত্ব শ্রমিকদের জন্য কাজ ও উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যাবস্থা করা। প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি কী? যতই দুর্নীতি বা যা কিছু থাক। যারা প্রকৃত নিডি তাদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে?
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি
এ এস জি অশোক চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে দুর্নীতি /অনিয়ম হয়েছে। কেন্দ্র টাকা দেয়। পঞ্চায়েত স্তরে সুপারভাইজার, নোডাল অফিসার নিয়োগ করে রাজ্য জেলাশাসকের নির্দেশে। তারাই এই টাকা বন্টন করে।কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যে। ২.৪৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ৬.৩৫ কোটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে রাজ্য। রাজ্যে রয়েছে ১.৫৫ কোটি জব কার্ড। কিন্তু তার মধ্যে কতগুলো আসল আর কত ভুয়ো সেটা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের।
সিবিআই আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুরুলিয়াতে এই দুর্নীতি পাওয়া গিয়েছে। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। সিবিআই প্রাথমিক ভাবে যে অনুসন্ধান করেছে কয়েকটি জায়গায় সেখানে বিপুল দুর্নীতি চোখে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় এখনও অনুসন্ধান চলছে।
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, ৫৮ জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা পরে তারা রাজ্যের অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ২০২১ এ কেন্দ্রের একটা টিম এসেছিল মালদা এবং পাহাড়ে। তারা সন্তুষ্ট নয় বলে জানায় জব কার্ড নিয়ে। ২০২৩ এ কলকাতায় ১৫ টি টিম আসে। তারা ফিরে যাওয়ার পর রাজ্যের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায়। রাজ্যের তরফে সেগুলো পাঠানো হয়। তারপরে নতুন আর টাকা দেয়নি কেন্দ্র। একাধিক বার কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে নতুন করে এই প্রকল্প চালু করা হয়। নথি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। বিকাশ ভট্টাচার্য জানায়, আবেদন জানায় তিন সদস্য একটা কমিটি গঠন করে এই পুরো বিষয়ের তদন্ত করতে।
আরও খবর দেখুন