কলকাতা: নদিয়ার হাঁসখালি (Hanskhali) ধর্ষণ ও খুনের মামলায় নয়া মোড়। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হল রাজ্য সরকারের কাছে। এই মর্মে হাইকোর্টে (High Court) মামলাও করা হয়েছে। আর সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। নির্যাতিতার আইনজীবী ও রাজ্য সরকার এই দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর হাইকোর্ট (High court) শুনানি স্থগিত রাখে।
মৃতার পরিবারের তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে জানান, সিবিআই (CBI) এই মামলার তদন্ত করছে। তাদের তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তবে মৃতার পরিবারের তরফে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান হয়েছে।
ওই আইনজীবী আদালতকে আরও জানান, রাজ্য সাধারণত ৫ লাখ টাকা দেয়। তবে তাঁদের তরফে সুপ্রিম কোর্টের(High Court) একটা রায় উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। কারণ আক্রন্ত একজন নাবালিকা। গণধর্ষণের শিকার। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন রয়েছে, আক্রান্তের পরিবার যেন পুনর্বাসন পায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।
পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল হাইকোর্টে জানান, সিবিআইকে (CBI) তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল। তারা তদন্ত করে চার্জশিট (Charge Sheet) পেশ করেছে। তবে হাইকোর্টে এইভাবে মামলা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যায় না।
এদিকে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তার পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। তাদের রোজগারের উপর প্রভাব পড়েছে। এই সওয়াল জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) এক নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। ৯ এপ্রিল মৃতার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত ব্রজ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই (CBI)। ঘটনার ৮৫ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।