সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। কান্ডের মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। বিচারক পুষ্পল সৎপতির এজলাসে দীর্ঘ ১০ বছর পর দেওয়া হল এই ঐতিহাসিক রায়। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিষমদ খেয়ে ডায়মন্ডহারবার মহকুমার ওসিসহ আশেপাশের মহুকুমা অঞ্চলে কমপক্ষে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উস্তি ও মগরাহাট থানায় দুটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছিল।সেই ঘটনারই এদিন সাজা ঘোষণা করে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৩, ৩০২, ৩২৮ নম্বর ধারায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়বে তৃণমূল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সোমবার আলিপুর জেলা নগর দায়রা আদালতে চড়ক পুষ্পল সৎপতির এজলাসে হাজির হন খোঁড়া বাদশা। পরনে ছিল হলুদ রঙের জামা আর নীল সাদা চেক লুঙ্গি। দুটো হাতের স্ক্র্যাচ নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে এজলাসে হাজির হন তিনি।এর পর আইনজীবীদের সাওয়াল-জাওয়াব সম্পূর্ণ হতে বিচারকের তরফে সাজা ঘহনা করা হয়।
আরও পড়ুন ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেসকে আহ্বান করল তৃণমূল
২০১৪ সালে বিষমদ-কাণ্ডে জেলা পুলিশের হাত থেকে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেয় রাজ্য সরকার। সেই তদন্তেই সামনে আসে নুর ইসলাম ওরফে খোঁড়া বাদশার নাম। জানা যায়, খোঁড়া বাদশার মদের ঠেক থেকেই এই বিষ মদের কারবারি চালানো হত। এর পরেই খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ মোট ৯ জন অভিযুক্তকে ‘বিষমদ-কাণ্ডে’ গ্রেফতার করে সিআইডি। ২০১৮ সালে উস্তিতে রুজু করা এই মামলার সাজা ঘোষণা হয়। তাতে খোঁড়া বাদশা সহ মোট ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী।গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তের স্ত্রীকেও।যদিও এই মামলা চলাকালীন একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে।উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বাকিরা।
আরও পড়ুন অসম সীমান্ত সমস্যা কংগ্রেসের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, মোদির কাছে দাবি বিজেপি সাংসদদের