বোলপুর : শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিতর্কিত ফলক এখনও সরানো হল না কেন শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে? ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী দফতর। বুধবার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে বিশ্বভারতীকে অসন্তোষ জানিয়ে মেল পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যত দ্রুত সম্ভব ফলক সরাতে হবে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দফতরের।
বৃষ্টি মাথায় বিতর্কিত ফলক ভেঙে ফেলল বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবন ও উপাসনার গৃহের সামনে সেই ফলক বসানো হয়েছিল। বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিতর্কিত ফলক ভাঙা হল।
১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। চলতি বছর দুর্গাপুজোর দুর্গা পুজোর মরশুম। অক্টোবর মাসে বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী “শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট” ফলক বসায়। ফলক বসানো হয় শান্তিনিকেতন উপাসনা গৃহ ও রবীন্দ্রভবনের সামনে।
সেই ফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। চূড়ান্ত ক্ষোব প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কিত ফলক সরাতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক মমতার। ১৪ দিন ধরে তৃণমূলের আন্দোলন চলে শান্তিনিকেতনে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অনুরোধে আন্দোলন প্রত্যাহার করে তৃণমূল।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে ৯ নভেম্বর যোগদান করে বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দফতর থেকে ফলক সরানোর নির্দেশ আসে। নির্দেশের দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও ফলক সরায়নি বর্তমান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিশ্বভারতীকে ইমেল পাঠানো হয়। চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী দফতর। দ্রুত বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশের পরই ফলক সরাল বিশ্বভারতী।