গোসাবা: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের খোদ তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার অন্তর্গত শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধানের। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বরুণ প্রামাণিক তাঁর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী রানু দাসকে ভয় দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি ওই জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বৃদ্ধ বাবা মাকে এলাকা ছাড়া করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বরুণ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আগামী ১১ অগাস্ট গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। কিন্তু গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড কারা গঠন করবে সেই নিয়ে তৃণমূলের দুইপক্ষের মধ্যে প্রার্থী নিজেদের কাছে রাখার লড়াই চলছে। দীর্ঘদিন ধরে গোসাবায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী গণ্ডগোলের জেরবার জেলা নেতৃত্ব। গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠী অপরটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের গোষ্ঠী। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গোসাবা ব্লকে মোট টিকিটের জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের গোষ্ঠী ৬০ শতাংশ ও বিধায়ক ৪০ শতাংশ পায়। একে অপরের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির ৪২টি আসনের মধ্যে প্রায় সমানে সমানে জয়ী প্রার্থীরা দুই গোষ্ঠীর অনুকূলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় দক্ষিণ দমদমে সচেতনতা শোভাযাত্রা
গত দুই তিনদিন আগে শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে জয়ী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী রানু জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষের গোষ্ঠীর অনুকূলে চলে যায়। যেহেতু এলাকার প্রধান বরুণ প্রামাণিক বিধায়কের অনুগামী, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে রানু ফিরে তাঁদের দিকে নিয়ে আসার জন্য ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ এই ঘটনার জন্য বিধায়কের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও ভয় দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরুণ।