বাঁকুড়া: রাতভর তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি বাঁকুড়া (Bankura) শুট আউট (Firing) কাণ্ডের দুই আততায়ীর। খোঁজ মেলেনি ঘটনাস্থল থেকে পলাতক সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সাদ্দাম শেখেরও। পুলিশ মোবাইল টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে আততায়ীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি শুট আউটের মোটিভ জানতে গাড়িতে থাকা সাদ্দামের দুই সহযাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বাঁকুড়ার কেশিয়াকোল এলাকায় দিনে দুপুরে চলন্ত একটি অল্টো গাড়িকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি বৃষ্টি করে বাইকে থেকে দুই আততায়ী। ঘটনায় অল্টো গাড়িতে থাকা তিন জন আহত হন। জানা গিয়েছে, আহত তিনজন ছাড়াও ওই গাড়িতে ছিল সাদ্দাম শেখ নামে এক দুস্কৃতী সহ আরও তিন জন। গুলি বৃষ্টির মাঝেই সাদ্দাম শেখ গাড়ি থেকে নেমে চম্পট দেয়। অপর দুজন কোনওক্রমে গাড়ির সিটের নীচে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন। পরে ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: টেটের নম্বর, বহাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আততায়ীদের লক্ষ্য ছিল সাদ্দাম শেখ। সাদ্দাম শেখ আসলে কাটোয়া পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের ছেলে। বেআইনি অস্ত্র মজুত, খুন, খুনের চেষ্টা, মাদক পাচার সহ ৩৩টি অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন বাঁকুড়া জেলে রেখে তার বিচার চলছিল। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেল থেকে ছাড়া পায় সে। ছাড়া পাওয়ার পর তাকে বাঁকুড়া থেকে আনতে যায় গলসি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা নৈমিতা শেখের স্বামী জিয়াবুল হক শেখ ও আইএনটিটিইউসির পুর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক নুর মহম্মদ শাহ। গুলিতে নুর ও জিয়াবুল ছাড়াও আহত হয়েছেন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডল। মঙ্গলবার রাতেই আহত স্বামীকে দেখতে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান নৈমিতা। তিনি এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেই মনে করছেন।