ওয়েব ডেস্ক: এসআইআর (SIR) ঘোষণা হতেই চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের ছিটমহলে (Chhit Mahal)। “ভারতের নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) পেয়েছি ২০১৫ সালে, তাহলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম দেখাবো কোথা থেকে?” – এই প্রশ্ন নিয়ে আজ কার্যত দিশেহারা আজ কোচবিহার (Coochbehar) জেলার দিনহাটার মশালডাঙা, পোয়াতুরকুঠি, শিবপ্রসাদ মোস্তাফি সহ একাধিক প্রাক্তন ছিটমহলের হাজার হাজার বাসিন্দা।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশে চালু হয়েছে এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকায় নাম টিকিয়ে রাখতে বা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে নাগরিকদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা বাবা-মায়ের নাম থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: SIR আতঙ্ক! বীরভূমে আত্মঘাতী বৃদ্ধ
কিন্তু এখানেই দেখা দিয়েছে তীব্র সমস্যা। প্রাক্তন ছিটমহলের মানুষদের বক্তব্য, ২০০২ সালে তাঁরা ভারতের নাগরিক ছিলেন না। ভারত–বাংলাদেশ ঐতিহাসিক ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয় ২০১৫ সালে, এবং সেই চুক্তির মাধ্যমেই তাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। ফলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কারও নাম থাকা সম্ভবই নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিটমহল বিনিময়ের আগে এইসব এলাকার বহু মহিলা বৈবাহিক সূত্রে দিনহাটা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁরা সেখানের ভোটার কার্ড পেলেও ২০১৫ সালের পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ সমীক্ষায় অনেকের নাম বাদ পড়ে যায়। ফলে এখন তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম টিকিয়ে রাখতে সমস্যায় পড়ছেন।
প্রাক্তন ছিটমহলবাসীদের দাবি, নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট জানাতে হবে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার বিকল্প হিসেবে তারা কোন বৈধ নথি পেশ করতে পারবেন। নাগরিকত্ব সনদ, ছিটমহল বিনিময় সম্পর্কিত সরকারি প্রমাণপত্র বা কেন্দ্রের দেওয়া রেসিডেন্স সার্টিফিকেট কি যথেষ্ট হবে? সে বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি ব্যাখ্যা নেই। আর কমিশনের এই অস্পষ্ট নির্দেশে অনিশ্চয়তার আতঙ্কে দিন কাটছে প্রাক্তন ছিটমহলবাসীদের।
দেখুন আরও খবর: