কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আর দশদিন বাকি। রাজ্যজুড়ে গোলমালের বিরাম নেই। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের গীতালদহে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শাসকদলের এক কর্মীর। ওই ঘটনায় অ্যাকশন নেবেন বলে জলপাইগুড়িতে এক সভায় জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি মারধরের অভিযোগ সমানেই আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার অপরাধে এক আদিবাসী প্রার্থীকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূমের মল্লারপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর-ইন্দ্রডাঙা গ্রামের। বিষয়টি জানিয়ে ময়ূরেশ্বরের (১) বিডিওকে লিখিত অভিযোগ করেন বিজেপি প্রাথী নমিতা সোরেন। কলেজপড়ুয়া নমিতাকে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গ্রামের কেউ যেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা না করে, বাসিন্দাদের এমনও জানিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী এবং শাসকদলের স্থানীয় নেতা জিতু সোরেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023 | Satabdi Roy | ফের পঞ্চায়েতের প্রচারে বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী
অন্যদিকে হাওড়ার জয়পুরের কংগ্রেস প্রার্থী সুকুমার মিদ্দা (Sukumar Midda) মনোনয়ন তোলার পর থেকে নিখোঁজ। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় থানা সুকুমারের আইনজীবীকে একটি ভিডিয়ো দেখান। সেখানে মিদ্দাকে এক পুলিশ অফিসারের সামনে বলতে শোনা যায়, আমি গোপন জায়গায় আছি। গোলমাল মিটলে বাড়ি যাব। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে এফআইআর করার নির্দেশ দেন পুলিশকে। তাঁকে এই বক্তব্য জোর করে বলানো হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বিচারপতির আরও নির্দেশ, ওই প্রার্থীকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।