তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার মামলায় লোকসভার জবাব চাইল শীর্ষ আদালত। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাল্টা জবাব দিতে মহুয়াকে আরও তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। বুধবার শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে নোটিস জারি করেছে।
লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। বহিষ্কৃত সাংসদের আর্জি ছিল, মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তাঁকে লোকসভায় যোগ দেওয়ার অনুমতি দিক আদালত। শীর্ষ আদালত অবশ্য সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আইনসভার এক্তিয়ারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সার্বভৌম শাখা হিসেবে আইনসভার নিজস্ব শৃঙ্খলা রয়েছে। সেখানে বিচারবিভাগীয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা আছে কি?
এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, মহুয়া কি স্বীকার করছেন তিনি দর্শন হিরানন্দানিকে লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস দিয়েছেন?
জবাবে মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, হ্যাঁ, দর্শন হিরানন্দানিকে পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তার নিয়ন্ত্রণ মহুয়ার হাতেই ছিল। আইনজীবী সেট অফ প্র্যাকটিসের কথাও তুলে ধরেন। প্রত্যেক সাংসদ তাঁদের আপ্ত সহায়কের সঙ্গে এই লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস শেয়ার করতে পারেন।
মহুয়ার আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই এবং শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে কেন এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে ক্রস এগজামিনেশন করা হয়নি? তিনি বলেন, হিরানন্দানি মহুয়াকে ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জয় অনন্ত। আবার হিরানন্দানি বলছেন, তাঁকে মহুয়া চাপ দিচ্ছেন। ফলে ক্রস এগজামিনেশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রশ্ন করেন, আপনি কি ক্রস এগজামিনেশন চেয়েছিলেন? জবাবে মহুয়ার আইনজীবী বলেন, বহুবার চেয়েছি। অনুমতি দেওয়া হয়নি। হিরানন্দানিও অভিযোগ করেছেন তাঁকে ডাকা হয়নি বলে।
এরপর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রশ্ন করেন, কাউকে চাপ দিয়ে কি প্রশ্ন করানো যায়। জবাবে মহুয়ার আইনজীবী বলেন, কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। দু’টো সুয়োমটো হলফনামা গ্রহণ করা হল কী ভাবে? ৪৯৫ পাতার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট দেখতে দেওয়া হয়নি। বেলা ১২টা নাগাদ রিপোর্ট পেশ করা হয়। কাউকে কোনও কপি দেওয়া হয়নি। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ বিতর্ক শুরু হয়ে যায় সংসদে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, একটি নোটিস ইস্যু করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করছে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মার্চ।
আরও অন্য খবর দেখুন
https://kolkatatvonline.in/kolkata/death-threats-to-the-family-of-the-slain-lawyer-questions-about-the-role-of-the-police-kolkatatvonline/
