ওয়েব ডেস্ক: একেবারে ঝড় তুলে দিলেন। বিরোধী দল নেতার হিন্দু শহিদ দিবস মাঠে মারা গেল। প্রচারের সব আলো কেড়ে নিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
কাউকে বুঝতে দেননি সুকান্ত। নীরবে ভোর পাঁচটায় গাড়ি পাঠিয়ে তুলে আনেন মুশিদাবাদের ঘরছাড়াদের। তাঁদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তারপর সোজা ভবানী ভবনে চলে যান। সঙ্গে ঘরছাড়া, আর গুটিকয়েক বিজেপি নেতা। ডিজির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়ে ঘরছাড়াদের নিয়ে বসে পড়েন মাটিতে। কেউ কিছু বোঝার আগেই সারা দেশে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সে ছবি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাস্তায় বসে, সঙ্গে ঘরছাড়া। দাবি, ডিজিকে দেখা করতে হবে। প্রচারের সব আলো এসে পড়ে সুকান্ত মজুমদার উপর। হারিয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডাকা হিন্দু শহিদ দিবস।
সুকান্তকে এইভাবে বসে থাকতে দেখে বিচলিত হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খবর পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে। একজন কেন্দ্রীয় ডিজি অফিসের সামনে বসে রয়েছেন? শুরু হয় ফোনাফোনি। কথা শুরু হয় কেন্দ্রের আমলাদের সঙ্গে রাজ্যের আমলাদের। হারিয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীর হিন্দু শহিদ দিবস।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ আবহে বদল হল সামশেরগঞ্জ ও সুতি থানার আইসি
২ ঘণ্টা ২২ মিনিট এইভাবে চলে। কার্যত বিজেপির কোনও নেতাকে তখনও দেখা যায়নি সুকান্ত পাশে। যাঁরা প্রথমে এসেছিলেন তাঁরাই রয়েছেন— তাপস রায়, অর্জুন সিং আর জগন্নাথ চটোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠে, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি রাস্তায় বসে, অন্য নেতারা কোথায়?
সুকান্ত মজুমদারের এই ভূমিকায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী খুশি হন এবং বিচলিত হয়ে ওঠেন। শেষমেশ কেন্দ্রীয় আমলাদের চাপে পড়ে ডিজি আসেন ভবানী ভবনে। ঘরছাড়াদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, এটা বিরাট রাজনৈতিক জয়।
মাঠে ময়দানে অনেক বেশি ঘোরেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার চালে প্রচারের সব আলো কেড়ে এসে পড়লো তাঁর উপর। ঘরছাড়ারা খুশি। তাঁরাও একটু আশার আলো দেখলেন যখন সুকান্ত তাঁদের নিয়ে রাজভবনে গেলেন। রাজ্যপাল সব শুনলেন, আশ্বাসও দিলেন। সব কিছুর মধ্যে যেন এক নেতার আচমকা কর্মসূচি ম্লান করে দিল হিন্দু শহিদ দিবসকে।
দেখুন অন্য খবর: