কলকাতা: আজ শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ ছুটি পেয়েছেন৷ কিন্তু, ইহলোক থেকে৷ তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর মৃত্যুতে সতীর্থরা বাক হারিয়েছেন৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) মৃত্যুতে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিবিদ হিসাবে কেমন ছিলেন? কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুব্রত? স্মৃতিচারণায় শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। তাঁরা গুণীজনকে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটাই কষ্ট পেয়েছেন যে, শেষ যাত্রায় থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দিলীপ ঘোষরা
শুধু রাজনীতিকরা নয়, তাঁর পরিচিত সাংবাদিকরাও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন৷ কংগ্রেস নেতা হয়েও বামনেতাদের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্কের জন্য বিরোধী গোষ্ঠী তাঁকে ‘তরমুজ’(বাইরে কংগ্রেস, ভিতরে সিপিএম) বলতেন বলে একাধিক জনের স্মৃতি চারণে উঠেছে৷
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আমাদের প্রিয় সুব্রত’দা৷ যার সাথে গত ১ নভেম্বরেও আমি কলকাতার পিজি হাসপাতালে দেখা করে এলাম৷ গল্প করলাম, সে আর নেই ভাবতে পারছি না। বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেল। একজন outstanding legislator, একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন হাসি খুশি, খোলামেলা অথচ বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নাম সুব্রত মুখার্জি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সুব্রতা’দাকে দেখেই রাজনীতিতে আসা৷’ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘প্রবীণ জননেতা, সফল রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন মেয়র বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী শ্রী সুব্রত মুখার্জির আকস্মিক প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করি।’
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সহকর্মী হিসেবে ওঁকে হারানো অপূরণীয় ক্ষতি, খুব ভেঙে পড়েছেন মমতাদি’৷
মুনমুম সেন বলেন, রাজনীতিতে একই দলে কাজ করেছি। সেই সুবাদে কাছ থেকে দেখেছি, শিখেছি ওঁর কাজ করার ধরন। জেনেছি এই দুনিয়ার খুঁটিনাটি। পারিবারিক যোগাযোগও ছিলই বরাবর।
শতাব্দী রায় বলেন, সত্যি বলছি এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। আমার গাড়ির চালকের মুখে প্রথম যখন শুনলাম, মনে হল নিশ্চয় ভুল খবর। ক’দিন আগেও অভিষেকের বাড়িতে একসঙ্গে বসে কত গল্প হল। বললেন দাঁতের ট্রিটমেন্ট চলছে। খেতে অসুবিধা হচ্ছে। ভাবতে পারছি না মানুষটা নেই।