কমিশনের পাঠানো ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টার ভিত্তিতে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছিল। ৪৮৩৪টি স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন ছিল। অনেক মানুষ চেয়েছিলেন যাতে ভোটের পরেও স্পর্শকাতর এলাকায় বাহিনী মোতায়ন থাকুক। সেই নির্দেশ নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে ভোটের ১০ দিন পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন থাকবে।
এরপর ভোটের দিন রাজভবনের তরফে প্রায় ২০০০ অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশন অফিসে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিশন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার মাধ্যমে কমিশনের কাছে ৭১১ টি অভিযোগ এসেছিল। প্রত্যেকটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: Recipe | Besan Halwa | গাজরের হালুয়া তো অনেক খেলেন, এবার ট্রাই করুন বেসনের হালুয়া, রইল রেসিপি
কমিশনের কেন্দ্রীয় পোর্টাল এবং জেলাশাসকদের কাছে আসা অভিযোগের ক্ষেত্রেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এছাড়াও ভোট গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি জায়গায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে জমায়েত ছাড়া বিশৃঙ্খলার খবর আসেনি। দুষ্কৃতী বা যারা গণনাকেন্দ্রের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল, তাদের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
রিপোর্টে রাজীব সিনহা দাবি করেছেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় এবারে ৪২ শতাংশ বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও আগের ভোটের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে ১ লক্ষ ১৫ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সেখানে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ২ লক্ষ ৬ হাজার প্রার্থী ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনে। তবে রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কমিশনের পাঠানো এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন।