ওয়েব ডেস্ক: গতকাল সন্ধ্যে থেকে উত্তপ্ত এসএসসি ভবন চত্বর। কারণ এসএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সোমবার প্রকাশ করা হবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের লিস্ট। যদিও তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা যোগ্য। কিন্তু বাকি লিস্ট কেন প্রকাশ করা হলো না সেই দাবি তুলে সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। রাতভর চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এসএসসি ভবন চত্বর। রাত বারোটা পনেরো নাগাদ এসএসসি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয় সুপ্রিম রায়তে চলবে ক্লাস, মিলবে বেতন।
রাত ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এসএসসি বিবৃতি দিয়ে জানাল, সুপ্রিম নির্দেশের কোন নড়চড় হবেনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাফিক যাঁরা বেতন পাচ্ছেন, কেবল তাঁরাই বেতন পাবেন এবং চাকরি করবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের অবস্থানে বাইরের আন্দোলনকারীও রয়েছেন’, বললেন কমিশনের চেয়ারম্যান
রাতে বিবৃতি প্রকাশ করে এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে। এবং বিভাগ কর্তৃক জানানো হচ্ছে, যে শিক্ষকেরা চাকরি করেছেন, তাঁদের বেতন বর্তমান ব্যবস্থা অনুসারে বিতরণ করা হবে।’’
আর তারপরেই আন্দোলনের তেজ আরও দশগুণ বেড়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন চাকরি হারারা। এসএসসি চেয়ারম্যানকে ভবন থেকে কোনভাবেই বেরোতে দেবেন না বলে জানান তাঁরা। ভাঙা হয় পুলিশি ব্যারিকেড। পুলিশের পক্ষ থেকেও নামানো হয় র্যাফ। রাতের বেলা এসএসসি ভবনে কোনরকম খাবার বা জল প্রবেশ করতে দেয়না চাকরিহারারা। তবে সকাল হতেই বেশকিছুটা নরম মনোভাব দেখা যায় তাঁদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, অনাহারে কষ্ট পাক এসএসসির চেয়ারম্যান, চাননা আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। তাই চেয়ারম্যান সহ ঘেরাও থাকা কর্মীদের আহার আর তাঁরা আটকাবেন না বলে জানান। তাঁরা জানান, মানবিক দিক থেকে খাবার, জল, ওষুধ আচার্য সদনে ঢুকতে দেওয়া হবে।
কিন্তু হঠাৎ এই মনোভাব কেন?
চাকরিহারাদের দাবি, ওনারা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের চাকরির জটিলতা কাটবেনা। তাই বাইরে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলবে ধর্না।
দেখুন অন্য খবর