ওয়েবডেস্ক: বইয়ের ভারে ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাগ বইয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। স্কুলের সামনে বাবা-মা হাঁ করে বসে থাকেন। ছেলে, মেয়ে যেন ফার্স্ট হয়। শিক্ষায় প্রতিযোগিতার বাজার। প্রত্যাশার চাপে নাস্তানাবুদ স্কুল পড়ুয়ারা। সেখানেই আলাদা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের অমরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সৌরীন রায়ের (Saurin Roy) পরিবার। মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam 20225) সপ্তম স্থান অধিকার করেছে সৌরীন। আরও চারজনের সঙ্গে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে সৌরীন। যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর আউশগ্রামে খুশির হাওয়া। সৌরীনের কথায়, বাবা আমাকে পঠন পাঠন নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কখনও চাপ দেননি। অনুপ্রেরণা হয়েছেন। সেই স্বাধীনতার জন্যই এই ভালো ফল হয়েছে। সৌরীন ডাক্তার হতে চায়। এজন্য নিট পরীক্ষায় বসবে সে।
সৌরীন জানিয়েছে, সে দিনে ১০-১১ঘণ্টা পঠন পাঠন করত। গান ও ক্রিকেট খেলা তার ভালো লাগে। ভালো ফল হবে সেটা জানত। তবে এতটা ভালো ফল হবে আশা করেনি। সৌরীনের এই সাফল্যে খুশির জোয়ার বইছে তার পরিবার, স্কুল এবং গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল সৌরীনের। ভবিষ্যতে সে মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে দ্বিতীয় কী বললেন, শুনে নিন
ছেলের এই অভাবনীয় সাফল্যে আবেগাপ্লুত সৌরীনের বাবা অভিজিৎ রায়। তিনি বলেন, “আমরা ভীষণ আনন্দিত। সৌরীনের কনফিডেন্স ছিল অনেক। ওর একটা বিশাল প্রত্যাশা ছিল। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষজন বিশ্বাস করতেন, ও একদিন র্যাঙ্ক করবেই।” পরীক্ষার আগে থেকেই সৌরীন ছিল নিয়মিত ও মনোযোগী। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের লক্ষ্য নিয়ে ছিল সচেতন। এই সাফল্যে শুধুমাত্র তার পরিবার নয়, অমরার গড় উচ্চ বিদ্যালয় ও আউসগ্রাম এলাকাও গর্বিত। স্কুলের পক্ষ থেকেও সৌরীনের প্রশংসা করে জানানো হয়েছে, সে বরাবরই মেধাবী ও দৃঢ়চেতা। তার ভবিষ্যতের পথ আরও উজ্জ্বল হোক। এই কামনা সবার।
দেখুন অন্য খবর: