কলকাতা: ছোট বেলায় স্নেহা (Sneha Gharami) খেলার ছলে যে কোনও ভারী জিনিস অতি সহজেই তুলে ফেলতো। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতো একদিন সে মফস্বলের মেয়েদের ভার উত্তোলন করবে। আন্তর্জাতিক (International) নিজেকে সামনে নিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর হাত ধরে এগিয়ে যাবে জেলার, মফস্বলের মেয়েরা। সামনে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day)। স্নেহার চোখ জ্বলজ্বল করছে স্বপ্নে। শপথে। কিন্তু সে পেরে উঠছে না। কেরলে আগামী ১ মে এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (Asian Equipped Powerlifting Championship) প্রতিযোগিতা শুরু হবে । হাতের কাছে স্বপ্ন সত্যি করার হাতছানি। কিন্তু ফল বিক্রেতা বাবার পক্ষে ওই প্রতিযোগিতায় এন্ট্রি ফি জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। দরকার ৮০ হাজার টাকা। ফেডারেশন কে দিতে হবে ওই এনট্রি ফি। সেখানেই থমকে গেছে হাওড়া ডোমজুরের স্নেহার সমস্ত আশা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে কোনও ভাবে সাহায্য করা হলে, ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে স্নেহা ঘরামি।
রাজ্যের হয়ে, দেশের হয়ে একাধিক প্রতিযোগিতায় একাধিক পদক ও প্রশংসা জিতেছে স্নেহা। আজ শুধু ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টের ফি-র টাকা জোগাড় করতে না পারায় এশিয়াল পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে সে। হাওড়ার সাব জুনিয়ার পাওয়ার লিফটার স্নেহা ঘরামির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এই নিয়ে আপাতত স্নেহার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক, কর্মকর্তারা
আরও পড়ুন: forest will be closed on holi: : হোলির জন্য জঙ্গল বন্ধ
স্নেহার বাবা জানান, পাওয়ার লিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ ব্যয় বহুল। পোষাক, আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সবই খুব দামি। একটি ভাল ক্রেপ ব্যান্ডেজ কিনতেই লেগে যায় ৬ হাজার টাকা। আরও অনেক খরচ লাগে। পাশাপাশি, সুষম খাবারও দিতে হয় তাকে। কিন্তু এক ধাক্কায় এত টাকা এনট্রি ফি দেওয়ার সামর্থ নেই তাঁর। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর অনুরোধ, তিন সদয় হয়ে অর্থ সাহায্য করলে স্নেহার এশিয়ান পাওয়ার লিফটিংয়ে যোগ দেওয়া নিশ্চিত হবে। যদিও জেলা সভাপতি এবং ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ আশ্বাস দিয়েহেন তিনি স্নেহাকে সাহায্য করবেন। কোনও ভাবেই প্রতিভাকে নষ্ট হতে দেবেন না।