শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির অন্যতম বড় বাজার এলাকা বিধান মার্কেটে হকার উচ্ছেদে যান পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, জঞ্জাল বিভাগের মেয়র পারিষদ মানিক দে এবং দুই নম্বর বোরো চেয়ারম্যান মহম্মদ আলম। কিন্তু দোকানদাররা তাঁদের পসরা সরাতে রাজি হননি। এই নিয়ে দু’পক্ষের সাময়িক বচসাও বাধে।
যদিও রঞ্জন সরকার জানান, ‘এটা কোনও বিক্ষোভ নয়। ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব বক্তব্য রেখেছেন শুধুমাত্র। আমরা শিলিগুড়িকে সুন্দর করে সাজাতে চাই। তার জন্যই সকলের সহযোগিতা চাইছি।’ বিধান মার্কেট সবজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুবল সাহা জানান, কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। পুরনিগম ব্যবসায়ীদের ভালোর জন্যই এসেছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই বিধান মার্কেটের বাইরে রাস্তাজুড়ে দোকানদাররা ব্যবসা করেন। হকারদের পসরা সাজানোয় সেখানে ফুটপাত বলতে কোনও অস্তিত্ব নেই। বাম আমলে অশোক ভট্টাচার্য মেয়র থাকাকালীন অবৈধ জবরদখল সরাতে দু-একবার ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। দোকানি ও হকাররা প্রতিবারই পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন। দু-একবার তাঁদের সরিয়ে অন্যত্র বসানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁরা তাতে রাজি হননি। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বছরের পর বছর ধরে বিধান মার্কেটকে শিলিগুড়ির মানুষ চেনে। এই অবস্থায় এখান থেকে সরিয়ে দিলে তাঁদের ব্যবসা মার খাবে।
আরও পড়ুন: AFSPA Modi: উন্নয়ন-শান্তি প্রতিষ্ঠা করেই উত্তর-পূর্বে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি, বললেন মোদি
নতুন করে তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতায় আসার পর শহরকে জানজটমুক্ত ও সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তার ফল হিসেবেই বিধান মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের হটানোর পরিকল্পনা নেয় পুরসভা। সেইমতো এদিন পুলিস প্রশাসনকে নিয়ে পুরকর্তারা এলাকায় যান। কিন্তু উচ্ছেদের ব্যাপারে সাধারণ ব্যবসায়ীরা রাজি হননি। তাঁরা রোজগারের যুক্তি দেখিয়ে পুর প্রশাসনকে বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানাতে থাকেন। তাই নিয়েই মনোমালিন্য তৈরি হয় দু’পক্ষে। এ ব্যাপারে তৃণমূলপন্থী ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গেও সাধারণ দোকানিদের বচসা-বাধায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।