কলকাতা: দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারির প্রসঙ্গে তৃণমূল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সারদা-নারদ কেলেঙ্কারির কথা তুলে আনছে। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নারদ কাণ্ডেও শুভেন্দুকে তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের সাধারণ সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, শুভেন্দু তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে চলে গিয়েছে। তাই ইডি, সিবিআই তাঁর গাঁয়ে হাত দিচ্ছে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি বিজেপিতে নাম লেখাতেন তবে তাঁকেও হয়তো ইডি ছুঁতো না।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, অভিষেকের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। ও সুখের পায়রা। ২০১১ সালে ২১ জুলাই উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলেন তৃণমূলে। হাজারটা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২০ সালে এক আইপিএস অফিসারের মদতে তৃণমূলের নেতারা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে জোর করে চিঠি লিখিয়েছিলেন। তাতে আমার, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সকলের নামের পাশে বিপুল অঙ্কের টাকা লিখে বলা হয়েছিল সকলে নাকি সুদীপ্তর থেকে টাকা নিয়েছে। ওই চিঠিতে মুকুল রায়ের নামও ছিল। কিন্তু তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন, তা সুদীপ্ত নাকি মনে পড়েনি।
আরও পড়ুন: ২০১৬ তালিকাভুক্ত সকলের চাকরির আস্বাস অভিষেকের, ক্যামাকস্ট্রিটে বৈঠকের পর বললেন শাহীদুল্লাহ
শুভেন্দু আরও দাবি করেন, ওই চিঠি দেওয়ার আগে তৃণমূলের দুই প্রবীণ সাংসদ শ্যামবাজারে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। তিনি যাতে তৃণমূল না ছাড়ে, তার জন্য তাঁর হাত পা ধরে রীতিমতো কান্নাকাটি করেন। তারপরই সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে ওই চিঠি লেখানো হয়।