আসানসোল: পর্দায় তাঁকে অনেকবারই নাচের দৃশ্যে দেখা গিয়েছে। ‘কালাপাথর’সহ বিভিন্ন সিনেমায় গলায় ঢোল ঝুলিয়ে নেচেছেন ‘বিহারিবাবু।’ কিন্তু, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন জগতের বাইরে এই বয়সেও মাদল বাজিয়ে নাচলেন শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। রীনা রায় বা হেমা মালিনী নয়, তাঁর সঙ্গে নাচের তালে পা মেলালেন আদিবাসী রমণীরা।
লোকসভা উপনির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই আদাজল খেয়ে নামছে রাজনৈতিক দলগুলি। অনেক দলই নানা সম্প্রদায়কে নিয়ে কর্মিসভা করতেও ব্যস্ত। বুধবার দুপুরে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে (Election Campaign) এক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ও আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় এবং আইএনটিটিইউসি জেলা সম্পাদক অভিজিৎ ঘটক। এই কর্মিসভায় আসা আদিবাসী মহিলাদের নাচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাদল বাজান প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
আসানসোলে ভোট প্রচারে মাদল বাজিয়ে নাচলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। নিজস্ব চিত্র।
এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা (TMC Candidate Shatrughan Sinha) বিজেপিকে এক হাত নিয়ে বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ির সময় লোকসাহি বা লোকতন্ত্র ছিল। আর এখন আমার বন্ধু মোদিজির সময়ে তা তানাশাহিতে পরিণত হয়েছে। অহংকার হয়ে গিয়েছে। ৯ দিনে ৮ বার পেট্রল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। আর মা-মাটি-মানুষের জন্য, আমাদের ঘরের মহিলাদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব প্রকল্প করেছেন, খাবার থেকে রেশন থেকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু রান্না কী করে হবে, গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা হয়েছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শত্রুঘ্ন বলেন, আজ আমার খুব ভালো লাগল। আদিবাসী ভাইবোনদের প্রোগ্রামে এসে। ওঁরা খুব ভালো। আজ আমাকে মাদল বাজতে উৎসাহিত করল। তাই মাদল বাজিয়েছি, আগেও বাজিয়েছি। এর আগেও সিনেমাতে বাজিয়েছি। আমি খুব খুশি।
আরও পড়ুন: CBI Investigation Calcutta HC: ধনেখালির নাসিরুদ্দিন-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে উষ্মা আদালতের
অন্যদিকে, এদিনই কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে বারাবনির সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচার সারলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। কল্যাণেশ্বরী মায়ের কাছে শান্তির কামনা করে বলেন, সন্ত্রাস চায় না মানুষ, শান্তি চায়। আর মানুষ বাড়ির মেয়েকে চায়। তাই জয়ের ব্যাপারে দুশো শতাংশ আশাবাদী। মানুষের ভালোবাসা তা প্রমাণ করে দিচ্ছে। আমার বাবার জন্ম রামনগরে। তাই এখানে আমার বাড়ি। আজ কাকুকে সঙ্গে নিয়ে পুজো দিলাম।