জলপাইগুড়ি: নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার টিকিট দুর্নীতিতে বিদ্ধ শাসক দল তৃণমূল। ফের একবার টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ সীমা সরকারের। টাকার বিনিময়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে এমনই অভিযোগ করেন তিনি। টিকিট না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতাবাড়ি দিঘিরপাড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে সীমা বলেন, গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ হিসাবে অনেক কাজ করেছি। মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে অনেক কাজ করা হয়েছে। এত ভালো কাজ করার পরও দল এবার আমাকে টিকিট দিল না। যেহেতু আমি টাকা দিতে পারিনি তাই আমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। তবে এখনই তিনি দল ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কোনও কাজ করবেন না। ভোট তিনি তৃণমূলকেই দেবেন। তবে প্রচারের কোনও কাজ করবেন না। এদিন সীমার সঙ্গে তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল কৃষাণ খেত মজদুরের মেটেলি ব্লক সভাপতি ও তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সোনা সরকার। তিনিও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | ঝাড়গ্রাম, আসানসোলের কিছু পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখল
এই প্রথম নয় এর আগেও জলপাইগুড়ি জেলায় বিভিন্ন ব্লকে টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কার্যত পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই কর্মীরা। অনেকেই টিকিট না পেয়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছে কেউবা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন তুলেছেন, আবার অনেকেই রাজনীতি থেকে বসে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। যদিও এই বিষয়ে আগেই সাফাই দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যোগ্য ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি করা হয়নি। তবে যেভাবে তৃণমূলের অন্দরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই টিকিট বিলে ঘিরে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, তাতে নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে।