বালুরঘাট: স্কুলে মোট চারটি ক্লাস রুম থাকলেও তিনটে রুমে করা যায় না ক্লাস। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা বেহাল। একপ্রকার বাধ্য হয়েই একটি রুমেই চলছে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস। স্কুলের বেহাল অবস্থার কারণে ক্লাসরুমের ছাদের চাঙড় খসে পড়ছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষক ও রাধুনিরা। ঠিক এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট ব্লকের সীমান্তবর্তী চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিঙ্গিশপুর আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অবস্থা এমনই ওই স্কুলে ভয়ে পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকদের একাংশ। ক্রমেই স্কুলে কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যা।
এদিকে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্কুল বিল্ডিং সংস্কারে কোনও উদ্যোগী নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতর। যা নিয়ে স্থানীয় এলাকায় অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। যদিও স্কুলের তরফে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শক(প্রাথমিক) সানি মিশ্র।
আরও পড়ুন: বসন্তেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?
ওই স্কুলে এক সময় ১০০ উপর পড়ুয়া ছিল। কিছু বছর আগেও স্কুলে ৪০ থেকে ৪৫ জন পড়ুয়া ছিল। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে তা কমে পড়ুয়ার সংখ্যা হয়েছে ৩১ জন। এদিকে ৩১ জন পড়ুয়া হলেও তার অর্ধেক পড়ুয়ায় এখন স্কুলে নিয়মিত আসে না। এদিকে শিক্ষকও মাত্র দুইজন। তাই যারা আসে তাদের দেখে রাখাও সম্ভব হয় না। স্কুলের মোট চারটি ঘর। দুইটি ঘর সিল করা হয়েছে। একটি ঘরেই সব ক্লাস চলছে। বাকি আরেকটি ঘর তথা ক্লাসরুমেই মিড ডে মিলের রান্না হয়। দীর্ঘদিন ভবনটি সংস্কার না করার ফলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: