ইসলামপুর: জাকির হোসেন (Jakir Hossain)-কে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি মানতে রাজি নন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool MLA) আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। বিদ্রোহী এই বিধায়কের অভিযোগ, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল তাঁর পছন্দের লোকদের নিয়ে কমিটি করেছেন। ভোট লুঠ করার জন্যই সভাপতি জাকিরকে ফের ব্লক সভাপতি পদে নিয়ে এসেছেন। তাঁর দাবি, বিধায়কের মনোনীত নেতাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই, তৃণমূলে বয়সসীমা বিতর্কে (Age limit debate in TMC) ইসলামপুরের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী ‘সেনাপতি’-র নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। পাশাপাশি দলের প্রবীণ-নবীন বিতর্কে চর্চায় থাকা অন্যতম কুণাল ঘোষকেও (Kunal Ghosh) বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন তিনি। করিম বলেছিলেন, প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য, এমনকী দেশও চলবে না। বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া আর কী। সেনাপতি হয়েছে না! আগেই বলেছিলাম মমতাদিকে যে, বাচ্চা ছেলে, সঙ্গে রাখুন কিন্তু পুরো ক্ষমতা দেবেন না। কুণাল ঘোষ তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র। দলে বয়সসীমা বিতর্কে নানা মন্তব্যে তিনি অতি সক্রিয়। চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত দলের প্রবীণ সাংসদদের। এই পরিস্থিতিতে ইসলামপুরের বিতর্কিত আব্দুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘কুণাল ঘোষ অনেক কথা বললেন, শুনেছি আমরা। মমতাদির উচিত ছিল ওঁকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে অধীর কোনও ফ্যাক্টর নয়, মুর্শিদাবাদের বৈঠকে মমতা
তৃণমূলে বয়সসীমা বিতর্কের পর আবারও জাকির হোসেন ব্লক সভাপতি করা নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন আব্দুল করিম চৌধুরী।বৃহস্পতিবারই ব্লক সভাপতিদের তালিকা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইটে আনা হয়েছে। সেখানে অনেক জেলায় ব্লক সভাপতি বদল করা হয়েছে। আবার কোথাও পুরনো ব্লক সভাপতিকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটে ব্লক সভাপতিদের তালিকা প্রকাশের পরেই বিস্ফোরক হয়ে উঠেছেন ইসলামপুরের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক।
আরও অন্য খবর দেখুন