হুগলি: মাহেশের রথযাত্রা বহু প্রচলিত। ৬২৯ বছরের জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবের প্রাক্কালে বিশেষ উৎসব হয় মাহেশে। যে উৎসবের নাম নবযৌবন উৎসব। জানা গিয়েছে, এইদিনই একমাত্র জগন্নাথ দেবের হাত দেখা যায় মাহেশের মন্দিরে। নবযৌবন উপলক্ষে জগন্নাথ দেবকে পড়ানো হয় রুপোর হাত। একদম রাজবেশে সাজানো হয় মহাপ্রভুকে।
বিশ্বাস করা হয়, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসবের পর জগন্নাথ দেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তাই মন্দিরের গর্ভগৃহে ১৫ দিনের জন্য নিভৃত বাসে থাকেন প্রভু জগন্নাথ। এই ১৫ দিন মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ থাকে, এমনকি ভক্তদের নাম কীর্তনও বন্ধ থাকে । জগন্নাথ দেব এই দিন জ্বর থেকে সেরে উঠে মহানন্দে থাকেন। দীর্ঘ ১৫ দিন মন্দিরের গর্ভ গৃহে থাকার পর থাকার প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শন করার জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ দিন পর খুলল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা, প্রস্তুতি তুঙ্গে পুরীতেও
১৫ দিন বাদে মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে। এদিন জগন্নাথ দেবকে ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। একইসঙ্গে এই দিনে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার হাত ও অলঙ্কার পরিয়ে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়। একেবারে রাজ বেশে সাজিয়ে তোলা হয়।
এই নবযৌবন উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য হল জগন্নাথ দেবের হাত। নবযৌবন উৎসবের দিন জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত লাগানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এই দিন জগন্নাথদেব সমস্ত ভক্তদের দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেন। এই একটি দিনই জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত দেখতে পান ভক্তরা। মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটক সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য।
রাত পোহালেই রথযাত্রা উৎসব। পুরীতে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব। অন্যদিকে, চলতি বছর দীঘায় প্রথম রথযাত্রা । পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে সৈকত শহর। চলতি বছর দিঘা থেকে পুরী, ভক্তদের বিপুল ঢল নামবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর