কলকাতা: মহেশতলায় অশান্তির পর রাজ্য পুলিশে রদ বদল করা হল। বদলি করা হল রবীন্দ্রনগর থানার আইসি (IC Rabindranagar Police Station) মুকুল মিঁয়াকে। মহেশতলায় সংঘর্ষের (Maheshtala Violence) জেরেই কি রাতারাতি পুলিশের এই রদবদল? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি ‘রুটিন বদল’। দু-তিনদিন আগেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠছিল মহেশতলা। ইট ছোড়া হয়। বাইক পোড়ানো হয়। আক্রান্ত হন একাধিক পুলিশকর্মী। ইটের আঘাতে আহত হন এক মহিলা পুলিশকর্মীও। সেই আশান্তির আবহে বদল করা হল রবীন্দ্রনগর থানার আইসিকে।
রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঁয়াকে দার্জিলিংয়ের ইন্সপেক্টর অব পুলিশ করে পাঠানো হল। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্রনগর থানার আইসি-র দায়িত্ব নিচ্ছেন মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজন কুমার রায়। শুধু রবীন্দ্রনগর থানার আইসি বদল নয়, মহেশতলার এসডিপিও-কেও (Maheshtala SDPO Transferred) বদল করা হয়েছে। মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকে স্টেট আর্মস পুলিশের থার্ড ব্যাটেলিয়নে পাঠানো হল। তাঁর জায়গায় মহেশতলার এসডিপিও হয়ে আসছেন সৈয়দ রেজাউল করিল। উনি রাজারহাট পুলিশ স্টেশনের আইসি ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে বদলি করা হয়েছিল। অজয়কুমার ঠাকুরকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে সিআইডি ডিআইজি পদে। বারাকপুরের নতুন কমিশনার মুরলীধর শর্মা।
আরও পড়ুন: শুরু ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি, আজ তৃণমূলের বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মহেশতলার (Maheshtala Violence) রবীন্দ্রনগর এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলা। দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোড়ে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। আগুন ধরানো হয় মোটরবাইকে। এক মহিলা সহ একাধিক পুলিশ কর্মী ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের তরফে টিয়ার গ্যাস অর্থাৎ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। তাতেও প্রথমে লাভ হয়নি কিছু। উল্টে পুলিশকে নতুন উদ্যমে আক্রমণ করতে শুরু করে উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা। বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধেয় ওই এলাকা পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
দেখুন ভিডিও