বোলপুর: টোটোর (Toto Problem) দাপটে অতিষ্ঠ রাজ্যের অন্যতম পর্যটন শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন। জ্যাম, যানজটে আতঙ্কিত পথ চলতি মানুষ। উদাসীন বোলপুর পুরসভা (Bolpur Municipality)। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুরপিতার। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত অঞ্চল বোলপুর শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। সেই শহরে এবার টোটোর (Toto) দাপটে অতিষ্ঠ বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক সকলেই।
তথ্য বলছে, গত ২০ বছরে বীরভূমের (Birbhum) এই শহরে পরিকাঠামোগতভাবে যেভাবে উন্নতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তা কার্যকরী হয়নি। কেন হয়নি? সেই ব্যাপারে জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুর কর্তৃপক্ষ, মহকুমা শাসক, পুলিশ প্রশাসন চুপ।
আরও পড়ুন: হরিদেবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার ৩, আজই আদালতে পেশ
গত পুর নির্বাচনে বোলপুর পুরসভার ওয়ার্ড বেড়ে হয়েছে ২২টি। শহর লাগোয়া পাঁচটি গ্রামকে পুরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভোটার বেড়ে হয়েছে প্রায় লক্ষাধিকের উপর। লোকসংখ্যা খুবই কম করে আড়াই থেকে তিন লক্ষ। হিসাব বলছে, প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ গ্রাম থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন। কেউ বাজার করতে কেউ বা দিনমজুর অথবা কেউ স্কুল-কলেজ ও বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করতে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি ধন্য বোলপুর শান্তিনিকেতনের শহরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। প্রতিদিন সকাল থেকে যেভাবে টোটো রাস্তায় নামে তাতে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। পায়ে হেঁটে চলার পরিস্থিতি থাকে না। টোটোগুলির কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জ্যাম, যানজট তৈরি হয়েছে শহরের মধ্যে। অনবরত পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বোলপুর পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই। এ বিষয়ে একই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শহরের যানজট নিয়ে যা পরিস্থিতি বলার আর কিছু নেই। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অথচ পুরসভা ভূমিকা জিরো।
বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ অবশ্য শহর জুড়ে যানজটের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুত টোটোওয়ালাদের নিয়ে বৈঠক করব। কোন টোটো কোন রুটে যাবে, ভাড়া কত হবে, সমস্ত বিষয় ঠিক করা গেলে শহরে যানজটের কমবে।
সামনেই বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তার আগেই বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকায় যেভাবে শহরজুড়ে যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে পুজোর দিনগুলি শহর জুড়ে যানজট মুক্ত থাকবে তো, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নের।