কলকাতা: ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, ফেল করেও বহু প্রার্থী চাকরি করছে। এছাড়া বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য সরকার অবশ্য দাবি করেছে, সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ। আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
আদালত সূত্রের খবর, মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৪ সালের প্যানেল থেকে এখনও নিয়োগ করা হচ্ছে প্রাথমিকে। এ বছরও নিয়োগের জন্য সরকারি নোটিস জারি হয়েছে। গত এক বছরে ছয় দফায় নিয়োগ হয়েছে। অপর এক আবেদনকারী ত্রিদিব বাগের দাবি, তিনি ২০১৪ সালে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। কিন্তু অকৃতকার্য হয়েও পল্লবী মান্না নামে এক তরুণী হুগলির মধুসূদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন।
রাজ্য সরকারের দাবি, এই নিয়োগগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। ২০১৪ সালের টেটের সঙ্গে এই নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকারকে তাদের বক্তব্য হলফনামার আকারে দুই সপ্তাহের মধ্যে পেশ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।
আরও পড়ুন: Unnao Rape: উন্নাওয়ে দলিত অপহৃত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন, প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্য
উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আদালতে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। বহু মামলা হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার প্রাথমিকেও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে সোমবারই এক প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে আদালত।