কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ টাকা খরচ, তালিকা মেনে ঘর বিতরণ সহ একাধিক বিষয়ের উপরের ভিত্তি করে তৈরি করা কেন্দ্রের রিপোর্টে প্রশংসিত রাজ্য সরকার। আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, উপভোক্তাদের তালিকা নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে কি না, তা জানতে বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল মোদি সরকার। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ন্যাশানাল লেভেল মনিটরিং টিমের রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে, তার সিংহভাগই ডাহা মিথ্যে। বাংলার দু-একটি জেলার কিছু অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে তারা। তবে অভিযোগের সংখ্যার নিরিখে তা অতি নগন্য।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার দুটি ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে পর্যালোচনা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় আবাস যোজনা নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি অভিযোগ সত্য। ঘর বরাদ্দের জন্য ওয়ার্ডের মেম্বাররা (কাউন্সিলর) ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই টাকার জন্য কোনও স্লিপও দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, পুরো লেনদেনটাই বেআইনিভাবে হয়েছে। কাউন্সিলরদের রাজনৈতিক প্রতিপত্তির কথা চিন্তা করেই প্রতিবাদ করার সাহস পাননি, কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের এমনটাই জানিয়েছেন উপভোক্তারা।
এছাড়া কয়েকটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। হুগলি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় এমনই চিত্র উঠে এসেছে। রাজ্য সরকারকে সঠিক নাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির সত্যতা খুঁজে পায়নি কেন্দ্রীয় দল। নদিয়া ও পুরুলিয়া জেলায় কয়েকটি অভিযোগ আংশিক সত্য বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা। কয়েকটি ক্ষেত্রে যোগ্য উপভোক্তাদের বঞ্চিত করে অন্যদের ঘর দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: Pallabi Dey Death: পল্লবী-মৃত্যুতে ফের পুলিসের মুখোমুখি হলেন না ঐন্দ্রিলা