ওয়েব ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক দাবি করেন। আরও একবার SIR নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধু বাংলাতেই SIR হচ্ছে? অসমে কেন হচ্ছে না? বাংলাদেশের বর্ডার অসমে থাকার পরও কেন ওই রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে না শুধুমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলে? কড়া প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি, খড়দহ এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ মহাজ্যোতি নগরের বাসিন্দা ছিলেন ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর। কর্মজীবন শেষে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বাভাবিক জীবনে হঠাৎই নেমে এল ঘোর অন্ধকার। আজ সকালে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর নিথর দেহ। যা জানা যাচ্ছে, তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এই মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নয়। কারণ, মৃত্যুর আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। আর সেই নোটের প্রতিটি শব্দ যেন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এক নিদারুণ আঘাত। প্রদীপ কর স্পষ্ট লিখে গেছেন, “এনআরসি-ই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।” (NRC is responsible for my death)। এই একটি বাক্যই যেন গোটা দেশকে দ্বিধায় ফেলে দিল। কেন একজন সাধারণ মানুষ নিজের দেশে, নিজের ভিটেতে দাঁড়িয়েও এমন ভয় নিয়ে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছেন? যে নাগরিকপঞ্জির আতঙ্ক বছরের পর বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত সেই আতঙ্কের সামনেই মাথা নোয়ালেন এই মানুষটি।
আরও পড়ুন: ‘আর কত রক্ত চান জ্ঞানেশ কুমার’, সাংবাদিক বৈঠকে আর কী বললেন অভিষেক?
এই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, আপনারা হিন্দুদের রক্ষা কর্তা বলে দাবি করেন। অভিষেক কর। কেউ বিজেপির একজনও গেছে? তৃণমূল গেছে। রিজেন্ট কলোনি ও নেতাজি নগরেও দুজন মারা গেছে। কালকে SIR ঘোষণা হয়েছে। আমি ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ভদ্রলোক এত ভয় পেয়েছেন। উনি কোনওদিন দরজা আটকে শোয় না। আজ ওর বৌদি বলছেন আত্মহত্যার চিঠি। প্রদীপ বাবু লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য SIR ও NRC। এত ঔদ্ধত্য, এত অপমান। আর কত রক্ত চান জ্ঞানেশ কুমার? খেলা আপনারা শুরু করলেন আমরা শেষ করব।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক শোরগোল। মৃত প্রদীপ করের সুইসাইড নোটে এনআরসি-কে দায়ী করার পরই সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনা ভারতীয় জনতা পার্টি র ‘ভয় ও বিভাজনের রাজনীতি’র বিরুদ্ধে এক চূড়ান্ত অভিযোগপত্র।
দেখুন খবর: