জলপাইগুড়ি: হিমঘরে আলু রাখার বন্ডের কুপন না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন কৃষকরা (Farmers)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের বাহাদুর এলাকার একটি হিমঘরে। প্রায় এক ঘণ্টা জলপাইগুড়ি-চাউলহাটি রোড অবরোধ চলে।তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবারও জলপাইগুড়িতে আলুর (Potatos) বন্ড নিয়ে ধুন্ধুমার ঘটে।পুলিশের সঙ্গে চাষিদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ হয়।
আন্দোলনকারী (Agitator) কৃষকদের দাবি, শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ডের কুপন দেওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে প্রচুর কৃষক জমায়েত হয়েছিলেন বন্ডের কুপন নিতে। তবে দুপুরের পরই হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানায় নতুন করে বন্ডের কোনও কুপন দেওয়া যাবে না, সব কুপন শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপরই কুপনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন কৃষকরা। এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন।
আব্দুল রেজ্জাক নামে এক আন্দোলনকারী জানান, বেশিরভাগ কৃষক বন্ডের কুপন পায়ননি। বন্ডের কুপন নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে।
আর এক কৃষক সামসুদ্দিন মহম্মদ বলেন, অনেক কৃষক বন্ড না পাওয়ায় আলু রাখতে পারবেন না। আমি আলু চাষের জন্য ৩ লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা খরচ করেছি, বন্ড পেলাম না।
বাহাদুর হিমঘরের ম্যানেজার শঙ্কর পাল বলেন, বাহাদুরের কুড়ি শতাংশ আলু হিমঘরে রাখা যাবে। বাকি আলু কৃষকদের অন্য হিমঘরে রাখতে হবে। হিমঘরে যতটুক জায়গা ততটুকই তো রাখতে পারব।
আরও পড়ুন : DA Strike | ধর্মঘটে অনুপস্থিত শিক্ষকের তালিকা শিক্ষা দফতরের হাতে, কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য!
কৃষকদের আন্দোলন রুখতে পুলিশের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। হিমঘরের বাইরে পুলিশ ও র্যা ফ বাহিনীর দেখা যায়।
এদিকে আলুর ন্যায্য দামের দাবিতে সিপিএমের (CPIM) কৃষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা শনিবার জেলায় জেলায় অবরোধ আন্দোলনে নামল। হুগলি, বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া এমনকি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও কৃষক সভার সমর্থকরা কোথাও রাজ্য সড়ক, আবার কোথাও জাতীয় সড়ক অবরোধ (Road Block) করেন।
কৃষক সভার বক্তব্য, একর প্রতি আলু চাষে একজন চাষির খরচ হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার টাকা। এদিকে দাম (Potato Price) মিলছে ৪৮ হাজার টাকা। ফলে ১৪ হাজার টাকা একর প্রতি ক্ষতি হচ্ছে। বেশিরভাগ কৃষক বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেন, কেউ কেউ ব্যক্তিগত ঋণও নিয়ে থাকেন। এই অবস্থায় আলু চাষিদের স্বার্থরক্ষায় রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।