বাঁকুড়া: সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে (Sonamukhi Block Hospital) প্রায় দু বছর ধরে বন্ধ এক্সরে বিভাগ , চরম সমস্যায় রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন হাসপাতালের BMOH। বাঁকুড়ার পুরশহর সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এক্সরে বিভাগ । সূত্রের খবর প্রায় দু বছর ধরে হাসপাতালের এক্সরে মেশিন খারাপ থাকার কারণে এক্সরে বিভাগ বন্ধ রয়েছে । যার ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সোনামুখী পুরশহর এবং সোনামুখী ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত এলাকা সাধারণ মানুষদের। যে মানুষগুলোর একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। সেই মানুষগুলোকে দিনের পর দিন মাসের পর মাস হাসপাতালে এক্সরে করাতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে । এমন অনেক অসহায় সাধারণ মানুষ রয়েছেন যাদের অন্যত্র গিয়ে এক্সরে করাতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয় ফলে তাদের একমাত্র ভরসা থাকে হাসপাতাল ।
তবে হাসপাতালেও এক্সরে বিভাগ বন্ধ থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের । দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগ বন্ধ থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদর্থক ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এখন কবে এই সমস্যার সমাধান হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে । অনিমা সরকার নামে এক রোগী এবং রিয়া পাল নামে এক রোগীর আত্মীয় জানান , সরকার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে এক্সিরে মেশিনের সমস্যার সমাধান করা । এই সমস্যার সমাধান হলে তাদের ভীষণ উপকার হবে বলেও জানান তারা । তবে এই নিয়ে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের BHOH মুখ না খুললেও মৌখিকভাবে তিনি জানান , দ্রুত এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায় তার সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে ।
আরও পড়ুন:ফের খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী (Dibakar Gharami)। তিনি বলেন , সোনামুখী হাসপাতালের এই সমস্যার কথা আমি বিধানসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি কিন্তু তারপরেও কোন কাজ হয়নি। স্বাস্থ্য নিয়ে বড় বড় কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা। এই রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলে কিছু নেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ।
অন্য খবর দেখুন