কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University Incident) ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব আরও জোরালো হচ্ছে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনতে চলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এই মামলায় প্রথম দফায় ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে আলিপুরের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ফের নিজেদের হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র্যাগিং নিষিদ্ধ আইনের ৪ নম্বর ধারায় ( West Bengal Prohibition of Ragging in Educational Institutions Act) সেকশন (4) যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে পুলিশের তরফে।
র্যাগিংয়ের কারণে যাদবপুরের (Jadavpur University) পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়েই তদন্ত এগোচ্ছে পুলিশ। ছাত্র মৃত্যুর পর প্রথম থেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হস্টেল থেকে একটি হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার হয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ওই হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি মৃত পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রের খবর, পড়ুয়াকে বাধ্য করা হয় গালিগালাজ করতে। বিভিন্ন ঘরে ঢুকিয়ে পরিচয়ের নামে চলতে থাকে অত্যাচার। হস্টেল থেকে তথ্যপ্রমাণ মেলার পরই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং-বিরোধী ধারা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। র্যাগিং-বিরোধী ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে র্যাগিংয়ে অংশ নেয়, ব়্যাগিংয়ে কোনও রকমের বা সাহায্য করে, তাকে দোষী বলে গণ্য করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্ট করেই পুলিশের স্ক্যানারে যাদবপুরের আলু
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হস্টেলের বর্তমানও প্রাক্তনী মিলে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আদালতে ঢোকার মুখে সৌরভ দাবি করেন, সে নির্দোষ। আমরা কোনও অপরাধী নই। বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলে কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্র নিজেই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।