ব্যারাকপুর: জগদ্দলে (Jagaddal) তৃণমূল কর্মী (Trinamool Congress Worker) ভিকি যাদবের খুনের ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মঙ্গলবার রাতে জগদ্দলে বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপোর ঘনিষ্ঠ ভিকি। ঘটনায় তোলপাড় চলছে জগদ্দলে। কে বা কারা এই হামলা চালাল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তদের খোঁজে মঙ্গলবার রাতভর পুলিশের অভিযান চলে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের গিয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তরা ধরা পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও।
আরও পড়ুন: আয়কর অফিসার পরিচয়ে সোনা গলানোর দোকানে দুষ্কৃতী হানা
তদন্তকারীদের দাবি, ভিন রাজ্য থেকে ভাড়াটে খুনিদের দিয়েই এই কাজ করানো হয়েছে। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ। সূত্রের খবর, খুনের পরই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালে জগদ্দলেই খুন হন আকাশ যাদব নামে এক যুবক। সেই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী ছিলেন ভিকি। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই মামলার কারণেই ভিকিকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভিকির বাবা ছিলেন এক পুলিশকর্মী খুনের মামলার অন্যতম আসামী। ভিকির বাবাও খুন হয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। পুলিশি এনকাউন্টারে ভিকির কাকার মৃত্যু হয়েছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগদ্দলের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে গুলিতে (Shoot Out)ঝাঁজরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, ভিকির সারা শরীরে মোট ন’টি গুলি লেগেছে। সব মিলিয়ে মোট ১১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ভিকিকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও অন্য খবর দেখুন