বহরমপুর: মনোনয়ন (Nomination) প্রত্যাহার করতে পুলিশ ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, দাবি করলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। শুক্রবার বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, মনোনয়নের সময় কম দেওয়া হয়েছে যাতে বিরোধীরা মনোনয়ন না করতে পারেন। তারপরেও পুলিশ হুমকি দিচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার, পুলিশ ও তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
মনোনয়ন ঘিরে রাজ্য ছিল দুর্বৃত্তের মুক্তাঞ্চল। ভাঙড়, চোপড়া, ক্যানিং, মুর্শিদাবাদ হিংসার আগুনে পুড়েছে। রক্ত ঝরেছে, মৃত হয়েছে রাজনৈতিক দলের কর্মী। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মনোনয়নের বাধা দিচ্ছে। ভাঙড়ে দুষ্কৃতীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই আইএসএফ কর্মী। রাজ্যের অশান্তির ঘটনার দিকে নজর রেখেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার আদালতের রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ আনার কথা বলছে রাজ্য। অথচ বিনা পয়সায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া হচ্ছে না। ভোট লুট করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপক্ষে রাজ্য সরকার দাবি করলেন অধীর চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাসের কুৎসিত চেহারা নিশংসতা আজও দেখেছে মানুষ।শুক্রবার ভাঙড়ে অশান্তি এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি ভাঙর, ক্যানিং, চোপড়া নিয়ে রাজ্যপালকে আগেই দেখা উচিত ছিল। রাজ্যপালের অনেক আগে কেন্দ্রকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রস্তাব দেওয়া উচিত ছিল। বাংলার মানুষ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য চাইছে। দেরিতে হলেও যদি সর্দথক পদক্ষেপ হয় বাংলার মানুষ তাকে স্বাগত জানাবে।