কৃষ্ণনগরঃ বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) নামই উচ্চারণ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দলের অনেকেই আশা করেছিলেন, শনিবার কৃষ্ণনগরের সভায় প্রধানমন্ত্রী হয়ত মহুয়া প্রসঙ্গ তুলবেন। কিন্তু তিনি তার ধারকাছ দিয়েও যাননি।
তবে প্রধানমন্ত্রী মহুয়া নিয়ে মুখ না খুললেও তাঁকে নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, আমি নাম করতে চাই না। তিনি এখন কৃষ্ণনগরের সাংসদ নন। টাকাপয়সা এবং মূল্যবান বিদেশি পারফিউমের লোভে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ নিজের লগইন এবং পাসওয়ার্ড অন্য এক শিল্পপতিকে দিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরই সুকান্ত জনতার উদ্দেশে বলেন, কৃষ্ণনগরে এবার পদ্ম ফোটাতে হবে। পারবেন তো?
আরও পড়ুন: সুদীপকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন কুণাল
শুভেন্দু বলেন, লোকসভার পাসওয়ার্ড বিক্রি করে দিয়েছেন এখানকার বহিষ্কৃত সাংসদ। তার জবাব দিতে হবে। তিনি এখানকার মহিলাদের লজ্জা। আমি এখানকার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করি। এবার এখানে পদ্ম ফোটাতেই হবে। তিনিও সুকান্তর মতো জনতাকে দিয়ে ওয়াদা আদায় করে নেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জেতানোর ব্যাপারে।
কৃষ্ণনগরের এদিনের সভা ছিল শ্রীচৈতন্যময়। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে শুভেন্দু, সুকান্ত সকলের ভাষণেই ঘুরে ফিরে এসেছে চৈতন্য প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করনে গৌরাঙ্গ নামে জয়ধ্বনি দিয়ে। সুকান্ত বলেন, নদিয়ার মাটি চৈতন্য মহাপ্রভুর মাটি। শুভেন্দু তো তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণের শেষে দুকলি কীর্তনও গেয়ে শোনান।
আরও খবর দেখুন