ওয়েবডেস্ক: দীঘায় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যাওয়ার বিতর্ক থামছে না। বুধবার ওই ঘটনার পর আদি ও দলবদলুতে ভাগ হয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে খিস্তি খেউর। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় থেকে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। পুরনো ও বর্তমান নেতারা আকস্মিকই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দিলীপ ঘোষ অবশ্য বেপরোয়া মেজাজেই সব বিতর্ক ট্যাকল করছেন। পাল্টা শট খেলে বল মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন। তিনি আগেই বলেছেন, যাঁরা তাঁর নামে বলছেন তাঁরা ২০২১-এর বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছিষ্ট খেয়ে এখন এই সব কথা বলছেন। পেট ব্যথা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) মন্তব্য করলেন, দল সবটার উপর নজর রাখছে।
শনিবার শমীক বলেন, আমাদের দলে কাঙ্খিত নয় এই ঘটনা। জনগণের টাকায় কেন মন্দির তৈরি হবে? এটা আমাদের দলের প্রশ্ন। স্যোশ্যাল মিডিয়াতে কে কী বলেছেন, তা আমাদের দলের নেতৃত্ব নজর রাখছেন। দলের গণতন্ত্র যাঁদের দেখার দায়িত্ব তাঁরা দেখছেন। ব্যাবস্থা নেবেন। ভবিষ্যতে এই ঘটনা যাতে আর না হয় তা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিটস্ট্রোকে কলকাতার রাস্তায় অজ্ঞান ঘোড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
পুরীর আদলে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে। তার উদ্বোধনে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সস্ত্রীক হাজির হন। হিন্দুত্ব বিজেপির প্রধান অ্যাজেন্ডা। ফলে এই ঘটনায় যারপরনায় অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। চড়া তারে মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করতে পারছে না বিজেপি। দিলীপ রাজ্য সরকারের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিলীপকে কটাক্ষ করেছেন। পাল্টা শুভেন্দুকে ধুইয়ে দেন দিলীপ। বঙ্গ বিজেপিতে যে ঘটনায় উত্তাপ বেড়েই চলেছে। তবে ঘটনার পর চার দিন কেটে গেলেও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও বার্তা পৌঁছয়নি। সদস্য সংগ্রহ থেকে বিজেপির অন্দরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। তা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: